প্রাইজবন্ড ১০০ টাকা মূল্যমানের বাংলাদেশ সরকারের একটি সুদ বিহীন বিনিয়োগ পদ্ধতি। স্থানীয়ভাবে সম্পদ সংগ্রহ এবং জনসাধারণকে সঞ্চয়ে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে চালু করা হয়। প্রাইজবন্ড বিক্রয়ের মাধ্যমে সরকার জনগণের নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করে এবং পূর্ব নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত ড্র অনুযায়ী বিজয়ী নম্বরের বন্ডের অনুকূলে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করে।
প্রাইজবন্ড রেজাল্ট ওয়েবসাইটে আপনি আপনার প্রাইজবন্ড নাম্বার সংরক্ষণ করে রাখলে, সর্বশেষ দুই বছরের ড্র'র রেজাল্টের সাথে আপনার প্রাইজবন্ডের নম্বর চেক করে আপনাকে ফলাফল জানিয়ে দিবে। আপনি ভাগ্যবান হলে, ড্র'র তারিখ থেকে দুই বছরের মধ্যে পুরস্কারের টাকা দাবী করতে পারবেন। শুধু পুরনো রেজাল্ট নয়, নতুন ড্র'র সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপনার বন্ডের সাথে ফলাফল চেক করে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। আপনি চাইলে এসএমএস ও ই-মেইল-এর মাধ্যমেও রেজাল্ট জানতে পারবেন।
প্রাইজবন্ড রেজাল্ট এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্রি, রেজিস্ট্রেশন করলেই আপনি এর সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
সাধারণত, প্রতি তিন মাস অন্তর (৩১ জানুয়ারী, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর) 'ড্র' অনুষ্ঠিত হয়। তবে উক্ত তারিখগুলোর কোনটিতে কোন সাপ্তাহিক ছুটি (বর্তমানে শুক্র ও শনিবার) বা সরকারি ছুটি (সাধারণ/নির্বাহী আদেশে/ঐচ্ছিক), অথবা অন্য কোন কারনে প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হতে না পারলে পরবর্তী কার্যদিবসে তা সম্পন্ন করা হয়।
প্রতি ড্র তে প্রতি সিরিজে পুরস্কার
ক্রয় করার সময়, বন্ডে নির্দেশিত বিক্রয় তারিখ থেকে কমপক্ষে ২ (দুই) মাস পার হলে উক্ত বন্ড ড্র'র আওতায় আসবে।
জেতার পর মূল বন্ডসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বিজয়ীকে পে-অর্ডার দেওয়া হয়। পুরষ্কারের দাবী ফরম পাওয়া যাবে যে কোন ব্যাংক অথবা পোস্ট অফিসে। এ ছাড়া অনলাইনে পাওয়া যাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (IRD) এবং বাংলাদেশ ফরম এই তিনটি ওয়েবসাইটে। পে-অর্ডারের মাধ্যমে পুরষ্কার দেয়া হবে তাই বিজয়ীর ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। এখনে উল্লেখ্য যে, ড্র'র তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বৎসরের মধ্যে ঐ ড্র-তে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থ দাবি করা না হলে ঐ পুরস্কার বাতিল হয়ে যায় যা কোনক্রমেই আর পরিশোধ করা হয় না।
'ড্র' অনুষ্ঠানের নির্ধারিত তারিখ থেকে দুই বছরের মধ্যে পুরস্কারের টাকা দাবী করতে হয়।
বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৪ সালে ১লা জুন, প্রথম প্রাইজবন্ড চালু করে। প্রতিটি বন্ডের দাম তখন ১০ থেকে ৫০ টাকা ছিল, কিন্তু ১৯৯৫ সালে মূল্য সংশোধিত করে ১০০ টাকা করা হয়।
১৯৯৫ সালের পর থেকে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড বাজারে রয়েছে।
শিশুসহ যেকোন বাংলাদেশী এই বন্ড কিনতে পারবেন।
একজন সর্বমোট ৪৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ প্রাইজবন্ড কিনতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল শাখা অফিস, বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলির অনুমোদিত শাখাসমূহ, জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো এবং দেশের সকল ডাকঘর থেকে প্রাইজবন্ড ক্রয় করা যায়।
প্রাইজবন্ড হস্তান্তরযোগ্য এবং স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে বন্ডের ধারকই এর মালিক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের এজেন্ট হিসেবে এই স্কিম পরিচালনা করে। প্রাইজবন্ড সম্পর্কিত যেকোনো নিয়ম পরিবর্তন পরিবর্ধন করার সকল ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের।
সবার প্রথমে আপনাকে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে, আপনার প্রাইজবন্ড-এর নাম্বার গুলো যোগ করতে হবে, এই কাজটি শুধু আপনাকে প্রথমবার করতে হবে। এরপর "প্রাইজবন্ড রেজাল্ট" গত দুই বছরে হওয়া ফলাফলের সাথে মিলিয়ে আপনাকে জানিয়ে দিবে আপনি পুরস্কার পেয়েছেন কি পান নি।
রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার ড্যাশবোর্ড থেকে আপনি আপনার প্রাইজবন্ড নাম্বার যোগ করতে পারবেন, আপনি চাইলে এক এক করে অথবা এক সাথে একের অধিকও যোগ করতে পারবেন। এক্সেল ফাইল থেকেও ইমপোর্ট করে আপনি প্রাইজবন্ড নাম্বার যোগ করতে পারবেন।
লগইন করার সাথে সাথেই আপনি আপনার ড্যাশবোর্ড-এ ফলাফল দেখতে পারবেন। গত দুই বছরে হওয়া ফলাফলের সাথে মিলিয়ে "প্রাইজবন্ড রেজাল্ট" আপনাকে জানিয়ে দিবে আপনি পুরস্কার পেয়েছেন কি পান নি। ই-মেইল ও এসএমএস দিয়েও আপনাকে আপনার রেজাল্ট জানিয়ে দেওয়া হবে।