একশ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১১তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।

একশ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১১তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ ড্র পরিচালিত হয়।

এবারের ড্রয়ে ৬ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ০৬৪০৮৬৪ নম্বর এবং দ্বিতীয় পুরস্কার জিতেছে ০৬৬৮১৯০ নম্বর। একক সাধারণ পদ্ধতি তথা প্রত্যেক সিরিজের একই নম্বরে ড্র পরিচালিত হয়। এবার ৭৩টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যার মোট ৩ হাজার ৩৫৮টি নম্বর পুরস্কারের যোগ্য বিবেচিত হয়েছে।
 
বর্তমানে প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের ৭৩টি সিরিজ যথা: কক, কখ, কগ, কঘ, কঙ, কচ, কছ, কজ, কঝা, কএ, কট, কঠ, কড়, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খথ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড়, খাঢ, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গথ, গগ, গঘ, গঙ, গচ, গছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড়, গঢ, গথ, গদ, গন, গফ, গব, গম ও গল এ ড্রয়ের আওতাভুক্ত। প্রাইজবন্ডের ড্রয়ে তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী নম্বর ০০৮১৭৫৫ ও ০২৬৮১১০। চতুর্থ পুরস্কার বিজয়ী নম্বর দুটি হলো: ০৬৫৫৮২২ ও ০৯১৭৭৪২।

এ ছাড়া পঞ্চম পুরস্কার বিজয়ী প্রত্যেক সিরিজের ৪০টি নম্বর হলো: ০০৯২২০১, ০১২৮৬৯৭, ০১২৮৮৮৫, ০১৩৮৮১৬, ০১৪০৫০৮, ০১৪৯৭৯৮, ০২৫০৪১৭, ০১৮২২১০, ০২৩৬১৫২, ০২৬৫৬৮৯, ০৩০০২৬৫, ০৩০৮১০১, ০৩১৫৯৮২, ০৩৪৭৬২৪, ০৪১২৭৯০, ০৪১৪৬৪৪, ০৪১৫৯৪৫, ০৪৩৫১২৮, ০৪৬৮৩৫১, ০৪৭৭২৪৫, ০৪৯৮৩৩০, ০৫১১৬৬৩, ০৫৩৩৬৫৯, ০৫৬২৬৭৮, ০৬০৬৩৮৯, ০৬০৯৩৬২, ০৬০৯৭৮৫, ০৬৪৪৪৬৯, ০৬৪৭৬৩৫, ০৬৫০৫৪১, ০৬৮৭৪১১, ০৭৮২৩৯০, ০৭৯২২৫৯, ০৮৬৩২১৯, ০৮৬৫০৬৩, ০৮৮৯৬৬৫, ০৯০০৪২৯, ০৯২২১৪০, ০৯৪১৯২৩ এবং ০৯৭১৯২৮।
 
প্রাইজবন্ডে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী সিরিজের প্রত্যেককে ৬ লাখ টাকা করে দেয়া হয়। দ্বিতীয় পুরস্কার বিজীদের দেয়া হয় তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা করে। তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীরা এক লাখ টাকা করে এবং চতুর্থ পুরস্কার বিজয়ী ৫০ হাজার টাকা করে পান। পঞ্চম পুরস্কার বিজয়ী প্রত্যেককে দেয়া হয় ১০ হাজার টাকা করে। প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের জন্য ঘোষিত সংখ্যার প্রতিটি সিরিজের সেই সংখ্যার বন্ড একই পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
 
ড্রয়ের নির্ধারিত তারিখ থেকে ৬০ দিন আগে (বিক্রির তারিখ ধরে ও ড্রয়ের তারিখ বাদ দিয়ে) যেসব প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছে, সেগুলো এ ড্রয়ের আওতাভুক্ত।

উল্লেখ্য, আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪-এর ৫৫ ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯৯৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রাইজবন্ডে পুরস্কারের অর্থ থেকে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করার বিধান রয়েছে।